
মোঃ লিটন উজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়া (ভেড়ামারা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন এমপি মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগ, সততা ও জনপ্রিয়তা—এই তিন মূল যোগ্যতার ওপর জোর দিচ্ছে, তখন কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে সেই নীতির বাস্তব প্রতিফলন দেখাচ্ছেন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। ২৬ সেপ্টেম্বর (২০২৫) শুক্রবার বিকেল ৫টায় মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বাজারের পথসভায় তাঁর পক্ষে সৃষ্ট অভূতপূর্ব জনস্রোত প্রমাণ করেছে, মনোনয়ন দৌড়ে তিনিই এই অঞ্চলের সবচেয়ে যোগ্য নেতা।
গোলাপনগর বাজারের পাশে পথসভায় ড. সাইফুল ইসলামের আগমন উপলক্ষ্যে যেন গোটা এলাকায় উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। উপস্থিত নেতাকর্মী, বাজারের দোকানদার, ব্যবসায়ী এবং আশেপাশের মা-বোনেরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁর বক্তব্য শোনেন। তাঁর বক্তব্যে তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের অঙ্গীকার তুলে ধরে ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে আমি জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। জনগণই আমাদের শক্তি, তাদের সমর্থনই আমাদের ভরসা।” বক্তব্যের প্রতিটি পর্যায়ে জনতা মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে সমর্থন জানান এবং স্লোগান তোলেন। সাধারণ মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস কেবল একটি পথসভায় উপস্থিতি ছিল না; উপস্থিত সকলে যেন ড. সাইফুল ইসলামের মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়দের মতে, মিরপুর-ভেড়ামারায় তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম কেবল প্রবীণ ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি; তিনি নিজেকে ‘জেন-জি’ (Gen-Z) প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবেও তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের প্রতি বিশেষ বার্তা ছিল, যা এই অঞ্চলের যুব সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। একজন শিক্ষিত, সৎ ও আধুনিক নেতার প্রতি তরুণদের এই সমর্থন তাঁর জনপ্রিয়তার গভীরতা নির্দেশ করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. সাইফুল ইসলামের এই জনজোয়ার বিএনপির নতুন মনোনয়ন নীতির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: ১. ত্যাগ ও সংগ্রাম: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ও ত্যাগ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২. সততা ও সুনাম: স্থানীয় জনগণের কাছে ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সততা প্রশ্নাতীত। ৩. জনপ্রিয়তা: মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বাজারে জনতার ঢলই প্রমাণ করে, ভোটের রাজনীতিতে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী।
পথসভার শেষে ড. সাইফুল ইসলাম দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, “আমরা জনগণের পাশে থাকতে চাই, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম আমাদের চলতেই থাকবে।” এই জনস্রোত এবং ড. সাইফুলের ব্যক্তিত্বের প্রভাবে কুষ্টিয়ার মাটিতে বিএনপি যে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।