
তুহিন সরকার মিরপুর প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পরানখালী বাজারে শত শত মানুষের সাড়া পেলেন প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম ।।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হাইকমান্ড যখন এমপি মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগ, সততা ও জনপ্রিয়তা—এই তিন মূল যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, তখন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে সেই নীতির বাস্তব প্রমাণ দেখালেন মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। ২৮ সেপ্টেম্বর (২০২৫), রবিবার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পরানখালী বাজারে তাঁর পথসভায় জনগণ সমস্বরে তাঁকে মনোনয়নের যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।
ড. সাইফুল ইসলাম এই জনসভায় স্পষ্ট করেন যে তিনি দলের মধ্যে কোনো গ্রুপিং বা লবিংয়ে বিশ্বাস করেন না। তাঁর আদর্শ শুধু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, ও তারেক রহমান। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ৪০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৫ সালে তাঁর বাবা শহীদ ফজলুল হক ফজল চেয়ারম্যান জুনিয়িদহ উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি বলেন, “আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন একজন সৎ, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী বড় নেতা হয়ে উঠতে পারি। সেটাই আমার ইচ্ছা।”
৩১ দফা নিয়ে লিফলেট বিতরণকালে জনগণ তাঁকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং অনেকে আনন্দ-কান্নায় ভেঙে পড়েন, যা তাঁর জনপ্রিয়তার গভীরতা প্রমাণ করে। ড. সাইফুল ইসলাম আবেগঘন ভাষায় বলেন, “আপনারাই অর্থাৎ জনগণের ভালোবাসা, স্নেহ-মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের ভালোবাসা।’’ বক্তব্যের শেষে তিনি জনগণের কাছে সরাসরি জানতে চান, আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগ, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের জন্য জনপ্রিয় কিনা। এর উত্তরে জনতা জোরালো কন্ঠে নিশ্চিত করেন যে, এই তিন মানদণ্ডে প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলামই নমিনেশন পাওয়ার যোগ্য। এই জনরায় তাঁর মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক শক্তিশালী বার্তা দিল।