
মোঃ লিটন উজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও সংহতি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা ও কুষ্টিয়া-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। জুনিয়াদহ ইউনিয়নের একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলীয় সংহতির বার্তা পৌঁছে দেন এবং ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের ‘নির্ভয়ে’ উৎসব পালনের আহ্বান জানান।
মন্দির সুরক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সদা জাগ্রত।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এক আবেগপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমানের অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক দিকটি তুলে ধরেন। তিনি নিশ্চিত করেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশের প্রত্যেকটি মন্দির যেন সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে সেই মর্মে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
ড. ইসলাম বলেন, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের (যেমন—জাতীয়তাবাদী দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক দল) সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন পূজামণ্ডপগুলোর সুরক্ষার জন্য ‘অতন্দ্র প্রহরীর মতো’ কাজ করেন। এই নির্দেশনা স্পষ্ট করে, জাতীয়তাবাদী দল দেশের সম্প্রীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
সংহতির বার্তা: অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার
অধ্যাপক ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি বরাবরই একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও ‘সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্তা’ গঠনে বিশ্বাসী। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলেও এই অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ সমুন্নত ছিল।
এই মুহূর্তে তাঁর এই বার্তা জনগণের মনে গভীর আস্থা জুগিয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “পূজার মণ্ডপ নিয়ে কি আপনাদের কোনো ভয় আছে? সকালে, সন্ধ্যায়, ভোরে, রাতে—কোনো সময় অসুবিধা নেই। আমার লোকজন, আমাদের লোকজন, বিএনপির লোকজন আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে যাবে।” যেকোনো প্রয়োজনে দলের নেতাকর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন।
চক্রান্তের বিরুদ্ধে সতর্কতা ও বিজয়ের প্রত্যাশা
ড. সাইফুল ইসলাম এই শুভ মুহূর্তে দেশবাসীকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের বিষয়েও সতর্ক করেন। তিনি বলেন, দেশ অস্থির করবার জন্য নানান ধরনের ষড়যন্ত্র আছে, তাই জনগণকে অনুরোধ করেন, তারা যেন কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেন।
পূজামণ্ডপে তিনি উৎসবের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অর্থ উপহার হিসেবে দেন এবং সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ‘মন খুলে, আনন্দের সঙ্গে, উৎসবমুখর পরিবেশে’ পূজা উদযাপন করেন। পরিশেষে, তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য আশীর্বাদ কামনা করে এই সংহতি যাত্রার সমাপ্তি টানেন। অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের এই মানবিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রমাণ করে, বিএনপি কেবল রাজনৈতিক দল নয়, এটি দেশের সকল মানুষের নিরাপত্তা ও সম্প্রীতির অঙ্গীকার।