মোঃ মামুন হোসেন ভেড়ামারা প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কুষ্টিয়া-২ আসন (ভেড়ামারা ও মিরপুর) মনোনয়ন প্রত্যাশী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। তিনি গতকাল থেকে আজ দুই দিনব্যাপী কর্মসূচিতে এক ভিন্নরকম আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করেছেন। তাঁর জনসংযোগ এখন কেবল রাজনৈতিক প্রচার নয়, যেনো এক আশা ও সংহতির তীর্থযাত্রা। গতকাল, ভেড়ামারার জুনিয়াদহ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে তিনি যেমন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি ভেড়ামারা পৌর এলাকার জনসভায় মনোনয়ন নিয়ে শুনিয়েছেন শুভ সংবাদ। সম্প্রীতির অঙ্গীকার: পূজামণ্ডপে নির্ভয়ে উৎসবের ডাকে
গতকাল অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের দিন শুরু হয়েছেন জুনিয়াদহ পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। শহীদ পরিবারের উত্তরাধিকারী এই নেতা সেখানে উপস্থিত হয়ে পূজারিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি আবেগময় কণ্ঠে বলেন, তাঁর এই আগমন তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে—যিনি চান, বাংলাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপ যেন সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে।
অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেন, বিএনপি'র সকল স্তরের নেতা-কর্মী 'অতন্দ্র প্রহরীর মতো' কাজ করবেন এবং সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা যেনো উৎসবমুখর পরিবেশে, নির্ভয়ে পূজা উদযাপন করতে পারেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "সকাল, সন্ধ্যায়, ভোরে, রাতে—কোনো সময় অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন এবং ইনশাআল্লাহ আপনাদের কোন সমস্যা নেই। কোন প্রকার অসুবিধা হলে আমাদের লোকজন মানে বিএনপির লোকজন আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে যাবে"। এই সংহতি বার্তা প্রমাণ করে, বিএনপি'র রাজনীতি কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, এটি হলো দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতি এক গভীর অঙ্গীকার।জনজোয়ারে উপচে পড়া আবেগ: নেতার প্রতি জনগণের আস্থা।পূজামণ্ডপের সংহতি শেষে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ভেড়ামারা পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন বাজারে ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে ভবিষ্যত সরকারের গঠনের বার্তা পৌঁছে দেন। আর সেখানেই জন্ম নেয় এক হৃদয়স্পর্শী দৃশ্য: অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষ যেন আবেগে বাঁধ ভেঙে দেন। অনেকেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন, যা ছিল নেতা-কর্মীর প্রতি নয়, বরং একজন সৎ, শিক্ষিত ও ত্যাগী মানুষের প্রতি জনগনের গভীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ। জনতার এই ভালোবাসা কেবল আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি ছিল পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের এই সাফল্য অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ তাঁর জীবন হলো সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি: শহীদ পিতার আদর্শ বহন, আন্তর্জাতিক শিক্ষাজীবনের সুযোগ উপেক্ষা করে স্বদেশে ফেরা, এবং দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকার দুঃসময়ে ব্যক্তিগত বাসভবনকে প্রতিরোধের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করা। মনোনয়ন নিয়ে আশার কথা: দল ও দেশের জন্য এক বিজয়
জনগণের আবেগ যখন মনোনয়ন প্রশ্নে এসে স্থির হয়, তখন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম তাদের আশাহত করেননি। বিভিন্ন সমাবেশে বক্তৃতার সময় তিনি মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক খবর শোনান। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের বিশ্বাস, তাঁর মতো ক্লিন ইমেজধারী, সফল এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে মনোনয়ন দিলে তা কেবল তাঁর ব্যক্তিগত নির্বাচন হবে না: "নির্বাচনে বিএনপি তাঁকে মনোনয়ন দিলে দল ও দেশ উভয়ই উপকৃত হবে"। তাঁর এই প্রত্যয় শুধু তাঁর আত্মবিশ্বাস নয়, এটি হলো দীর্ঘদিনের ত্যাগের বিনিময়ে জনগণের হৃদয়ে তৈরি হওয়া এক গভীর বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। কুষ্টিয়া-২ আসনের জনগণ এখন অপেক্ষা করছে, কবে তাদের এই সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী নেতা বিজয়ী হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।
সম্পাদক মোঃ লিটন উজ্জামান,, বার্তা সম্পাদক মোঃ মামুন হোসেন ৯৯৯,,বাংলাদেশ - ঢাকা,, কুষ্টিয়া জেলার
কুষ্টিয়া সদর যোগাযোগ :- ০১৩০৫২৯১৯১৪ Gmail:- anusondhandaily@gmail.com
Design and Develop By Coder Boss