
মোঃ লিটন উজ্জামান (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :-
জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম তিনি বলেন “সম্মান, সহাবস্থান ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আমার রাজনীতি” ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম ২৩ অক্টোবর (২০২৫, বৃহস্পতিবার) ভেড়ামারা বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার লিফলেট বিতরণকালে বলেন,
“আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষে মানুষে পারস্পরিক সম্মান, সহনশীলতা ও ভালোবাসা ফিরে আসবে; যেখানে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলেই শত্রু হয়ে যাবে না।”
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে লিফলেট বিতরণের সময় হাজারো মানুষের ভিড়ে ড. সাইফুল ইসলামকে ঘিরে সাধারণ মানুষ আবেগে আপ্লুত হয়। কেউ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়, কেউ তাঁর হাত ধরে বলে—“আপনিই আমাদের আশার মানুষ।” তরুণরা নিজের খরচে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে স্লোগান দেয়—“ধানের শীষের প্রার্থী চাই—আমাদের নেতা সাইফুল ভাই!”
ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা সবাই মানুষ—আমাদের হাসি, দুঃখ, ভালোবাসা এক। অথচ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ( ১৭ বছরের) অপসংস্কৃতির রাজনীতি সমাজে হিংসা ও বিভাজন ছড়িয়েছে। সেই অনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও নৈতিকতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনাই এখন সময়ের দাবি।” তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠণ করে সম্মান, সহাবস্থান ও গণতন্ত্রের নতুন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করবে।”
ড. ইসলাম জনগণের হাতে তুলে দেন বর্ণিল লিফলেট যেখঅনে রয়েছে— জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা- “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।” ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি- স্বচ্ছ নির্বাচন, আইনের শাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার, নারীর অধিকার, কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ। আরো রয়েছে- স্থানীয় উন্নয়ন, জনগণের নিরাপত্তা, শহীদ পরিবারের সম্মান ও জবাবদিহিমূলক রাজনীতির প্রতিশ্রুতি।
ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে এবং আমরা জাতীয় সরকার গঠন করে এই বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করব।” তিনি আরও যোগ করেন, “নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে, কারণ তিনি আমাদের জীবনধারণের উৎস। মা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন—তাই নারীর প্রতি অসম্মান মানে মানবতার প্রতি অসম্মান।”
প্রফেসর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বের বীজ রোপিত হয় ছাত্রজীবনে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। পরে শিক্ষকতা জীবনে সততা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক নেতৃত্বের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠেন। তাঁর সহকর্মী ও প্রাক্তন ছাত্ররা তাঁকে আজও “মানবিক শিক্ষক” ও “নীতিনিষ্ঠ নেতা” হিসেবে স্মরণ করেন।
লিফলেট বিতরণের সময় সাধারণ মানুষ তাঁকে ঘিরে ফেলে। কেউ বলেন, “আমরা এমন নেতা চাই, যিনি ভদ্র, শিক্ষিত, সৎ এবং আমাদের দুঃখ-বেদনা বোঝেন।” বৃদ্ধ কৃষক থেকে তরুণ ভোটার—সবাই তাঁর পক্ষে একবাক্যে বলেন, “আমরা চাই ড. সাইফুল ইসলামকে।”
শহীদ পরিবারের উত্তরাধিকার, ছাত্রজীবনের সংগ্রাম, শিক্ষক জীবনের নেতৃত্ব, রাজনৈতিক নৈতিকতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পৃক্ততা—সব মিলিয়ে প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম এখন কুষ্টিয়া–২ আসনের জনগণের প্রত্যাশা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তাঁর একটাই বার্তা— “সম্মান, সহাবস্থান ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আমার রাজনীতি।”