মোঃ মামুন হোসেন (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কুষ্টিয়া–২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “জনগণের হাসি ও ভালোবাসাই রাজনীতির আসল শক্তি। যদি আমরা মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে সংযোগ হারাই, তাহলে রাজনীতি অর্থহীন হয়ে পড়ে।”
২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তিনি ভেড়ামারা বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক সংস্কার, গণতান্ত্রিক আচরণ, দলীয় ত্যাগ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার এক গভীর বার্তা। ড. ইসলাম বলেন, “রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়—মানুষের ভালোবাসা, হাসি ও সম্মান অর্জন। জনগণের ভালোবাসা না পেলে কোনো নেতৃত্ব টেকে না।” তিনি যোগ করেন, “আমরা যদি মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করতে না পারি, তবে গণতন্ত্র টেকে না, সমাজও ভেঙে পড়ে।” তাঁর বক্তব্যে আবেগপূর্ণভাবে উঠে আসে পারস্পরিক মানবিক সম্পর্কের মূল্য—“মানুষের হাসির অনুভূতি যেমন সারাবিশ্বে এক, তেমনি সম্মানের অনুভূতিও সবার মধ্যে একই।”
ভাষণে তিনি নারীসম্মানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমার মা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন। তাই নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। সমাজে নারীর প্রতি অসম্মান মানে মানবতার প্রতি আঘাত।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “একটি দেশের স্থায়ী শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন নারী নিরাপদ ও সম্মানিত। সামান্য অন্যায় বা অন্যায্য আচরণও জাতির স্থিতি নষ্ট করে দিতে পারে।”
ড. সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, “বিএনপি কখনো ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে মেনে নেয়নি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির নেতারা বারবার জনগণকে আন্দোলনে আহ্বান জানিয়েছিলেন—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই, বন্দুকের মুখে নয়। জনগণই আমাদের শক্তি, তাদের ভোটেই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।”
নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে ত্যাগ ছাড়া সাফল্য আসে না। অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। যারা ত্যাগ করবে, তারাই প্রকৃতভাবে জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য।” তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “বিএনপি সবসময় সম্মান ও নীতির রাজনীতি করেছে। তাই আমরা যে জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছি, তা হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে।”
প্রফেসর সাইফুল ইসলাম আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের পুনর্জন্মের সুযোগ। প্রচলিত ভোটপদ্ধতিতে নানা ত্রুটি আছে—তাই আমাদের নতুন, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।” তিনি আহ্বান জানান, “এই নির্বাচন যেন হয় শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও সম্মানজনক। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক, কিন্তু শত্রুতা নয়।”
ভেড়ামারা ও মিরপুর অঞ্চলে তাঁর এই বক্তৃতা শোনার পর সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানায়। হাজারো মানুষ তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্লোগান দেয়—“আমাদের নেতা সাইফুল ভাই! ধানের শীষে ভোট চাই!” স্থানীয় তরুণরা নিজেরা খরচ করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে, হাতে রাখে বিএনপি’র ৩১ দফা লিফলেট। কেউ বলেন, “আমরা এই মানুষটাকেই আমাদের প্রার্থী হিসেবে চাই, যিনি রাজনীতিকে ভালোবাসার জায়গা থেকে দেখেন।”
বক্তৃতার শেষ অংশে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতি মানে বিভাজন নয়, ঐক্য। শত্রুতা নয়, শ্রদ্ধা। মানুষে মানুষে সম্পর্ক যত মজবুত হবে, রাষ্ট্র তত শক্তিশালী হবে।” তিনি মিরপুর–ভেড়ামারার জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, “আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমাকে যদি মনোনয়ন দেন, আমি এই অঞ্চলের মানুষের ভালোবাসার ঋণ শোধ করব জীবন দিয়ে। ইনশাল্লাহ।”
সম্পাদক মোঃ লিটন উজ্জামান,, বার্তা সম্পাদক মোঃ মামুন হোসেন ৯৯৯,,বাংলাদেশ - ঢাকা,, কুষ্টিয়া জেলার
কুষ্টিয়া সদর যোগাযোগ :- ০১৩০৫২৯১৯১৪ Gmail:- anusondhandaily@gmail.com
Design and Develop By Coder Boss