রতন ঘোষ বিশেষ প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ক্ষেমিরদিয়া গ্রামের ভূপতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অত্যান্ত আস্হাভাজন ও জিয়া সরকার’র ভূমিমন্ত্রী নির্লোভ, নিরঅহংকারী এবং দুর্নীতি বিরোধী সাদামনের মানুষ ব্যারিষ্টার আব্দুল হক’র ভাগনে মিরপুর ভেড়ামারার গণমানুষের জনপ্রিয় ও জননন্দিত নেতা আহসান হাবীব লিংকন।
১৯৮০ এর দশকে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়নরত অবস্হায় তরুণ আহসান হাবীব তদসময়ের রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু লেঃ জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের পণেমে পড়ে যান এবং এরশাদ সরকারের রাজনীতির সহিত জড়িত হয়ে পড়েন। অতি অল্প দিনেই তরুণ লিংকন এরশাদের অতি নিকটজনের তালিকায় যুক্ত হন এবং ব্যাক্তিগত সখ্যতা গড়ে তোলেন।যার ফলশ্রুতিতে এরশাদ নবীন বয়সে তাকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন এবং নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন।তার নেতৃত্বের গুণাবলীতে সন্তুষ্ট হয়ে প্রেসিডেন্ট এরশাদ তাকে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।
একজন পরিচ্ছন্ন ও নির্মোহ, নির্লোভ,নিরঅহংকারী আহসান হাবীব লিংকন আজ অবধি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সহিত অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।বিভিন্ন সরকারামলের জুলুম,নির্যাতন, অত্যাচার, জেল খাটা স্বত্বেও তিনি জাতীয় পার্টি ছেড়ে যাননি।একসময় এরশাদ মহাজোটে গেলে ১৪ দলের সহিত নীতিগতভাবে না মেলায় তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) রাজনীতির সহিত জড়িত হন। বর্তমানে তিনি কাজী জাফর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করে চলেছেন। উল্লেখ্য বিগত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র চরম দুর্দিনে সকল সময়ে পাশে থাকার ফলশ্রুতিতে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান দলীয় বিবেচনা উপেক্ষা করে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে ধানের শীষ প্রতিক বরাদ্দ দিয়েছিলেন।সে ভোটে আওয়ামীলীগ দলীয় জোটের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা তাকে ভোটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও তিনি হাল না ছেড়ে মাঠে ছিলেন এবং ভোটাররা তাকে যথেষ্ট ভোট প্রদান করেছিলেন। যার কারণে তিনি খুলনা বিভাগের ৩৭ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিএনপি’র শীর্ষ মহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন।বর্তমানে লিংকন ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকলেও একটু সময় পেলেই তিনি ভেড়ামারা- মিরপুর সফর করেন এবং রায়টা থেকে হালসা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।এতদাঞ্চলের সাধারণ মানুষ আহসান হাবীব লিংকনের চলাফেরা আচার আচরণ এবং রাজনীতি পছন্দ করেন।রাজনীতি সচেতন অনেক সুধীমহল আগামী নির্বাচনে তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে গণমানুষের পাশে প্রত্যাশা করেন। অনেকের মতে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আহসান হাবীব লিংকনই সেরা বলে মতামত ব্যাক্ত করেন।