একটি হলেও বৃক্ষরোপণ করব জনে জনে—এই স্লোগান সামনে রেখে পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে সীমান্ত সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান।
আজ সোমবার (২৩ জুন) বিকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মিরপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০ জন শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।
শিশুর হাতে চারা, চোখে আগামী
প্রচণ্ড গরমের দুপুরে গাছের চারা হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট শিশু-কিশোররা যেন এক নিঃশব্দ বার্তা দিচ্ছিল—সবুজ হোক ভবিষ্যৎ, বাঁচুক পৃথিবী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সীমান্ত শিল্পীগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মো. জুলফিকার রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ‘ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট’-এর পরিচালক মু. ওয়ায়েস কুরুনী।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সীমান্ত সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক মো. হাসিকুল ইসলাম বিপ্লব।
অতিথিদের বক্তব্যে ছিল পরিবেশের প্রতি ভালোবাসার আহ্বান
জুলফিকার রহমান বলেন,
বৃক্ষ শুধু অক্সিজেনই দেয় না, ভালোবাসাও দেয়।
আমাজন বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। অথচ বিশ্বের বনভূমির ২৫% এর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৭% টিকে আছে।
এই ভয়াবহ সংকট মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
হাসিকুল ইসলাম বিপ্লব বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—‘যদি কেয়ামত শুরু হয়, তবুও হাতে যদি চারা থাকে, রোপণ করে দাও।
আমরা সেই শিক্ষাকেই সামনে রেখে এই আয়োজন করেছি।
গাছ আমাদের নিঃস্বার্থভাবে শেখায় দিতে—সেটাই আমাদেরও অনুসরণ করা উচিত।
আরও বড় পরিসরে চলবে কর্মসূচি
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যায়ক্রমে এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে