
পলাশ কুমার স্টাফ রিপোর্টার -:
মনোনয়নে চমক হতে পারে যোগ্য তরুণরা।নির্বাচনি মাঠে শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী, কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ জনপ্রিয়তা, বিগত আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে মূল্যায়ন করবে বলে জানা গিয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একক প্রার্থী চূড়ান্তে তৎপর বিএনপি। এবার নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলটি। তবে আসন্ন নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। সেজন্য প্রার্থী মনোনয়নে তাদের মনোভাবের কথা আমলে নিতে হবে।
এ বাস্তবতা বিবেচনায় তরুণ প্রার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। মূলত সে কারণেই মনোনয়নে চমক হতে পারেন ‘যোগ্য’ তরুণরা। এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় এ ধরনের শতাধিক নেতা গণসংযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন লাভে তারা কেন্দ্রেও দৌড়ঝাঁপ করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এবার দেশের মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। তাদের ভোট টানতে ইতিমধ্যে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে প্রার্থী মনোনয়নে অপেক্ষাকৃত তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাবেক ছাত্র ও যুব নেতারা এগিয়ে আছেন।
নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য ত্যাগ, বিগত দিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা-এসব মানদণ্ড যাচাই করে প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। মানদণ্ড হবে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, নির্বাচন করার ক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং বিগত আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ কেমন ছিল।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বৃহস্পতিবার বলেন, কোনো রাজনীতিতে প্রবীণ ও নবীনের সংমিশ্রণ ছাড়া চলে না। আমরা তরুণদের কথা বলছি , কিন্তু একেবারে যে প্রবীণদের বাদ দেওয়া হবে, এমন নয়। আমরা সেটা কখনো বলিনি। এখানে নবীন এবং প্রবীণের সংমিশ্রণে প্রার্থী দেওয়া হবে। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং ভোট টানতে পারবে- তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপি নেতারা জানান, এবারের ভোটে জেন-জি’সহ নতুন ভোটারদের মানসিকতা বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী প্রার্থী দিতে হবে। অন্যথায় ভোটের মাঠে প্রত্যাশিত ফলাফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ফলে প্রার্থী বাছাইয়ে তারুণ্যের প্রাধান্য থাকবে।
অপেক্ষাকৃত তরুণ অন্তত শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ইতিমধ্যে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন
তার মধ্যে অন্যতম জনসাধারণের সাড়া পাচ্ছেন বলে জানা যায়। এবং ২৬ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে তারই মধ্যে
খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ও রয়েছে। এবং জনসাধারণের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিগত আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সাংগঠনিক দক্ষতা মূল্যায়নে এগিয়ে আছেন কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।